- শেয়ার: কোম্পানির মূলধনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ও সমান অংশকে শেয়ার বলে। শেয়ারের পরিশোধিত মূল্যকে স্টক বলে। তবে বর্তমানে শেয়ার ও স্টক একই অর্থে ব্যবহৃত হয়।
- শেয়ারের প্রকারভেদ: শেয়ার সাধারণত ২ প্রকার।
ক) অগ্রাধিকার শেয়ার: যে সকল শেয়ারের মালিকগণ কোম্পানিতে মূলধন বিনিয়োগ করে কিন্তু ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না এবং নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পায় তাকে অগ্রাধিকার শেয়ার বলে। অগ্রাধিকার শেয়ার অনেকটা ঋণের মতই আচরণ করে। একে ঋণ ও ইক্যুইটির মিশ্রণ বলা হয়।
অগ্রাধিকার শেয়ারকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়-
1. | মেয়াদের দৃষ্টিকোণ থেকে- |
| i) অপরিশোধ্য/চিরস্থায়ী অগ্রাধিকার শেয়ার |
| ii) পরিশোধ্য অগ্রাধিকার শেয়ার |
2. | সাধারণ শেয়ারে রূপান্তরের দৃষ্টিকোণ থেকে- |
| i) রূপান্তরযোগ্য/পরিবর্তনযোগ্য অগ্রাধিকার শেয়ার |
| ii) রূপান্তরঅযোগ্য/অপরিবর্তনযোগ্য অগ্রাধিকার শেয়ার |
3. | লভ্যাংশ প্রদানের দৃষ্টিকোণ থেকে- |
| i) সঞ্চয়ী অগ্রাধিকার শেয়ার |
| ii) অসঞ্চয়ী অগ্রাধিকার শেয়ার |
4. | মুনাফায় অংশগ্রহণের দৃষ্টিকোণ থেকে- |
| i) অংশভাগ অগ্রাধিকার শেয়ার |
| ii) অনাংশভাগ অগ্রাধিকার শেয়ার |
খ) সাধারণ শেয়ার: যে সকল শেয়ারের মালিকগণ কোম্পানিতে মূলধন বিনিয়োগ করে, ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, পরিচালনায় অংশগ্রহণ করতে পারে এবং সর্বোচ্চ লভ্যাংশ গ্রহণ করে, তাকে সাধারণ শেয়ার বলে।
বিভিন্ন ধরনের সাধারণ শেয়ার:
১. রাইট/অধিকার শেয়ার
২. বোনাস/অধিবৃত্তি শেয়ার
৩. ট্রেজারি শেয়ার
৪. অনাঙ্কিক মূল্যের শেয়ার
Comments
Post a Comment